ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে প্রকৃচির ১৬ দফা
সুমন দত্ত: সরকারি চাকরিতে ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে ও কৃত্য পেশাভিত্তিক প্রশাসন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসকদের সংগঠন প্রকৃচি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে তারা ১৬ দফা দাবি পেশ করে। এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক প্রকৌশলী মোঃ. নূরুল হুদা, বিএমএর মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী সহ অন্যরা।
তাদের মতে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেসব সুযোগ সুবিধা পায় তেমনটা তাদের ক্ষেত্রে ঘটে না। এক ধরনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার শিকার তারা। জনপ্রশাসনের মতো তাদের দ্রুত পদোন্নতি হয় না। গাড়ি কেনার জন্য তারা কোনো ঋণ পান না। অথচ তারা একই বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন। এই ক্যাডার বৈষম্য দূর করার জন্য ও সংশ্লিষ্ট পেশার লোক দিয়ে পেশা ভিত্তিক মন্ত্রণালয়গুলোর প্রশাসন তৈরি করার আহবান জানিয়েছেন তারা।
তাদের মতে রাষ্ট্র চালাতে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের বিশাল অবদান আছে। অথচ এসব মন্ত্রণালয়গুলো চালায় অন্য পেশার লোক। একজন কৃষিবিদ কৃষি মন্ত্রণালয় চালানোর ক্ষমতা পায় না। একজন প্রকৌশলী তার অধীনস্থ মন্ত্রণালয়গুলো চালানোর অধিকার রাখে না। চিকিৎসক তার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চালানোর ক্ষমতা পায় না। অন্য পেশার লোক এনে এসব বিশেষ মন্ত্রণালয় গুলো চলে। যার ফলে সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
একজন বিসিএস পাশ চিকিৎসক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো যেভাবে বুঝবেন, এবং তার জন্য করণীয় কি? সেটা নির্ধারণ করতে পারবেন। অন্য পেশার লোক দিয়ে সেটা হয় না। এরকম বহু টেকনিক্যাল বিষয় আছে যেগুলো ওই পেশার লোক বুঝে। তাই এসব পেশার লোককে পদন্নোতি দিয়ে তাদের মন্ত্রণালয়গুলোর প্রশাসন তৈরি করা হোক। তাতে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণের সেবা দেয়ার মান আরো বাড়বে।
বর্তমানে টেকনিক্যাল জ্ঞান শূন্য প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যমান অবস্থায়ও সচিব পদে যে কোনো ক্যাডার কর্মকর্তার নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও শুধুমাত্র ক্যাডার বৈষম্যের কারণে আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল মন্ত্রণালয়গুলো সচিব পদে ওই পেশার ক্যাডার লোক দিয়ে পূরণ করা হয়নি।
যার ফলে টেকনিক্যাল জ্ঞানশূন্য প্রশাসন তৈরি হচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪ডটকম